Tuesday 11 June 2013

স্বপ্নময় চক্রবর্তীর হলুদ গোলাপ শেষের দিকে

কোলকাতা থেকে ঝাড়গ্রাম যাচ্ছে অনিকেত। স্টিল এক্সপ্রেসে হঠাট দেখা হয়ে গেল সোমনাথের সঙ্গে। সে রূপান্তরকামী মানে ট্রান্সসেক্সুয়াল। যাত্রাপথে হিজড়েদের সম্পর্কে অনেক রকম তথ্য দিল অনিকেতকে। খোলামেলাভাবে জানাল, তার ব্যক্তিগত জীবনের হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখের তুবড়ি।
স্বপ্নময় চক্রবর্তীর নতুন উপন্যাস হলুদ গোলাপ শেষ হচ্ছে ওচিরেই। এটা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে রোববার পত্রিকায়। পাঠকদের বিপুল আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

উপন্যাসটি শেষ হলে স্বপ্নময় ফেসবুকে লিখেছেন--হলদে গোলাপ উপন্যাস টা শেষের দিকে। এতদিন ধরে এতজন চরিত্র আমার সঙ্গে ছিল,ওদের ছেড়ে দিতে হবে,ছুটি দিতে হবে।আমি কিন্তু একা হয়ে পড়ছি।

তাঁর একজন অনুরাগী পাঠক Debabrata Acharjee  লিখেছেন বেপারটা তেমন সুখকর নয় লেখক হিসেবে আপনার জন্য কিন্তু আমাদের মতো পাঠকদের জন্য সুখবর। চরিত্রগুলো আমাদের মাঝেই বেঁচে থাকবে। সেই কবে আপনার লিখা একটা ছোট গল্পে পড়েছিলাম গরু গাড়ী করে প্রযুক্তি যাচ্ছে গ্রামে। এখনো প্রায়ই মনে পড়ে সেই চিত্রকল্পটি।


আরেকজন পাঠক  Ria Dasgupta নিয়মিত পড়ি আমি , অন্যরকম লেখা, প্রতি রবিবার অপেক্ষা করে থাকি 
হলদে গোলাপের জন্য। একা হবেন কেন আবার নতুন কোন সৃষ্টিতে মেতে উঠুন দাদা ।

এর মধ্যে পূজা লেখাপত্তর চলছে। কিন্তু কী লিখছেন সেটা আপাতত জানালেন না। তিনি হলুদ গোলাপের মগ্ন
আছেন। 

Friday 7 June 2013

এই ঈদে পাপড়ি রহমান কী লিখছেন


পাপড়ি রহমান
টাঙ্গাইল। বাংলাদেশ।
গল্পকার। উপন্যাসিক।
গল্পের বই ৫টি : লখিন্দরের অদৃষ্ট যাত্রা, হলুদ মেয়ের সীমান্ত।
উপন্যাস : পোড়া নদীর স্বপ্নপুরান, বয়ন, পালাটিয়া। 

ছোট কাগজ, বড় কাগজ, সম্পাদনা ইত্যাদি মিলিয়ে আমি সারা বছরই নানান রকম লেখার চাপে থাকি। এমনিতেই তো লিখি খুব কম । ফলে লেখার চাহিদার সাথে যোগান দেয়া সম্ভব হয় না। যে কোনো ফরমাইশি লেখা আমাকে  বিব্রত করে, এজন্য যে সঠিক টাইমে লেখাটি দেয়ার অভিপ্রায়ে প্রায় অস্থির থাকি। ঈদের প্সেশাল ইস্যুগুলো বা অন্য 
স্পেশাল ইস্যুগুলোতে লিখলেই যে কেউ ভাল বা বড় লেখক- এমন ভাবনা আমার নেই। লেখাটি কেমন হলো এ 
বিবেচনায় আমি ভাল লেখক মূল্যায়ন করি। নিজেও সচেতন থাকি ট্র্যাশ কোনো লেখা যেন আমি কিছুতেই না 
লিখি। তারপরও ঈদ বলে কথা। থাকে লেখার প্রচুর আমন্ত্রণ, হয়তো ছয়টি পত্রিকা থেকে ঈদের লেখার ডাক পাই 
কিন্তু কম লেখা স্বভাবের জন্য তিনটির বেশি লেখা কিছুতেই দিতে পারিনা।তাও আমার সারা বছরের সঞ্চয় ওসব। 

এতে সমস্যাও হয়, যাদের লেখা দিতে পারিনা তারা ভাবে আমি মুডি বা অহংকারি বা ইচ্ছে করেই দিলাম না।
 আদতে তা নয়।আমি লিখিই তো বছরে তিনটে বা চারটে গল্প। আর তিন-চার বছর পর পর একটা করে উপন্যাস। 
উপন্যাস আমি কাউকে ছাপতে দেই না। আমার মনে হয় বই প্রকাশের আগে কেউ উপন্যাসটি পড়ে বা দেখে 
ফেললে তাতে নতুনত্ব বা চমক ম্লান হয়ে যায়।

বারংবার লেখা চাওয়ার পরও লেখা দিতে পারিনা বলে পত্রিকাওয়ালার প্রায়শই ভুল বোঝে আমাকে। আমার গুটিয়ে 
থাকা স্বভাবের জন্য এই অপারগতাও তাদের জানাতে পারিনা।

এবারেও যাবে তিনটে ঈদ সংখায় তিন ধরণের গল্প। এর একটা সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া সাম্প্রাদিয়কতা নিয়ে।যদি 
এর মাঝে আর একটি গল্প লিখতে পারি তাহলে ঈদসংখ্যার লেখা হবে চার।কোন কোন পত্রিকায় যাবে নাম 
জানাচ্ছি না।তবে বাংলাদেশের উঁচু সাহিত্য মানের পত্রিকাগুলোতেই অবশ্যই। নাম জানাচ্ছি না এজন্য যে সন্তান 
ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে নাম জানাতে বিব্রত লাগে।

Wednesday 5 June 2013

লেখক অমর মিত্র এই পূজায় কি লিখছেন

অমর মিত্র

Amar Mitra
গল্পকার উপন্যাসিক
কোলকাতা।

গ্রন্থ : ধনপতির চর। অশ্বচরিত।
পুরস্কার : একাডেমী। 
----------------------------------------------------------------------------------------------------
এই পূজায় তিনি লিখছেন  ২টি উপন্যাস ও তিনটি বড় গল্প, গল্প কয়েকটি 
লিখছেন। কিন্তু বিস্তারিত
জানালেন না। কারণ পুজোর লেখার কথা জানাতে বারন করে পত্রিকা গোষ্টী।
তবে তিনি ফেসবুকে ১ জুন একটা স্টাটাসে জানাচ্ছেন--
আমি একট উপন্যাস দীর্ঘদিন ধরে লিখেছি। নাম দশমী দিবসে। এই উপন্যাসের কাল দেশভাগের বছর দশের পর 
থেকে এই সন্ত্রাস কবলিত সময়। কিন্তু এর ভিতরে অনেকটা অংশ জুড়ে আছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রেবেকা, 
হেনরিয়েটা, মা জাহ্নবী, রাজনারায়ণ দত্ত আর সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ নদ। সময় থেকে সময়ান্তরে যাত্রা করেছে 
মানুষ। মেঘনাদের মৃত্যু ও রাবনরাজার হাহাকার, মধুসূদনেরই ব্যক্তি জীবনের ছায়ায় ঢাকা যেন। আমি বিশ্বাস করি 
কল্পনাই উপন্যাসকে দিতে পারে মহাব্রহ্মান্ডের বিস্তার। 

সময় থেকে সময়ান্তরে যাত্রা, নানাযুগ এক যুগে এসে মেশা, এ যেন আমি দেখতে পাই। আমি নিজে যেন 
দেখেছিলাম সাগরদাঁড়ির কপোতাক্ষ তীরে মধু তাঁবু ফেলে বসে আছে মা জাহ্নবীর সঙ্গে দেখা করবে , সে খ্রিস্টান,
ত্যজ্য পুত্র। সে যাবে কালাপানির ওপারে। যে ঘাটে অপেক্ষা করেছিল মধু, যে ঘাট দিয়ে চলে গিয়েছিল অনন্ত জীবন 
সমুদ্রে, সেই ঘাট বিদায় ঘাট। আর আসেনি মধু। দেশভাগের পর সমগ্র দেশটি হয়ে যায় বিদায় ঘাট। আর দেশের 
সমস্তদিন যেন হয়ে ওঠে দশমী দিবস। উপন্যাস প্রকাশের পথে।

এই ঈদে এই পুজায় কি লিখছেন


বিপুল দাস

গল্পকার, উপন্যাসিক

জন্ম : ১৯৫০, থাকেন শিলিগুড়িতে।

গল্পগ্রন্থ: শঙ্খপুরীর রাজকন্যা
উপন্যাস : লালবল। 
-------------------------------
পুজো উপলক্ষে প্রচুর শারদীয়া সংখ্যা প্রকাশিত হয়। সে কারণেই ভীষণ লেখার চাপে আছি। বাণিজ্যিক এবং লিটল্‌ ম্যাগাজিন -- দুটোতেই লিখতে হয়। বাণিজ্যিক পত্রিকার উপন্যাস লিখেছি উত্তর বাংলার বন্ধ হয়ে যাওয়া চা-বাগানের সমস্যা নিয়ে। এর পেছনে অসাধু মালিক এবং ইউনিয়নের নেতাদের আঁতাত কী ভাবে কাজ করে, সেগুলো নিয়ে লিখেছি। সঙ্গীত নিয়ে একটা ছোট উপন্যাস লিখেছি 'আলাপপর্ব' নামে একটা লিটল ম্যাগে। এছাড়া দশ বারোটা ছোটগল্প লিখেছি। আমার বেশির ভাগ লেখাতেই উত্তরবাংলার জনজাতি, তাদের মিশ্র সংস্কৃতি, তাদের কৌম সমাজ, পূজাপার্বণ, লোকগাথা --এসব আসে। তাছাড়া, সমস্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও প্রাণের টঁইকে থাকার লড়াই-এর কথা ঘুরে ঘুরে আসে। এবারের ছোট গল্পগুলোতেও এসেছে। তবে, চরিত্র, গল্প বলার আঙ্গিক, পটভূমি -- এসব তো পাল্টাতেই হয়।

comments

comments